ইমরান হাসমি ও ইয়ামি গৌতমের ‘হক’ অত্যন্ত স্পর্শকাতর শাহ বানো মামলা নিয়ে তৈরি কোর্টরুম ড্রামা। বছরের অন্যতম প্রতীক্ষিত ছবিগুলির মধ্যে একটি হলো ‘হক’ সিনেমা। জঙ্গলি পিকচার্স প্রযোজিত এবং সুপারন এস বর্মা পরিচালিত এই কোর্টরুম ড্রামা মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন সিনেমাপ্রেমীরা। এই ছবিটি আগামী ৭ নভেম্বর মুক্তির কথা ছিল। তবে মুক্তির আগেই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে ‘হক’ ছবির মুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি শাহ বানোর পরিবারের। 

‘হক’ কোর্টরুমে প্রেম ও ধর্মের লড়াই। 

সিনেমার প্রেক্ষাপট- এই ছবির গল্পের শিকড়ে জড়িয়ে রয়েছে ভারতের আইনব্যবস্থার ইতিহাস। সুপ্রিম কোর্টের এক ঐতিহাসিক রায়। যা বদল এনেছিল ব্যক্তিগত এবং ধর্মনিরপেক্ষ আইনের ভারসাম্যের ছবিতে।   “শাজিয়া বানো তাঁর স্বামী আব্বাসের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন, যখন সে দ্বিতীয় বিয়ের পর তাঁকে ও তাঁদের সন্তানদের ছেড়ে যায়। এক নারীর এই ন্যায়বিচারের লড়াই থেকেই জন্ম নেয় ধর্ম, নারী-অধিকার ও ন্যায়ের প্রশ্নে এক জাতীয় বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্টের এক ঐতিহাসিক রায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত ‘হক’ এক নারীর অধিকার ও আত্মমর্যাদার সংগ্রামের গল্প।” রেশু নাথ রচিত এবং সুপার্ন এস ভার্মা পরিচালিত এই ছবিটি সমাজের বাস্তব প্রশ্নগুলিকে এক তীব্র সংবেদনশীলতার সঙ্গে সিনেমার পর্দায় ফুটিয়ে তুলবে। সেই রায়ের অনুপ্রেরণায় তৈরি ইমরান হাসমি এবং ইয়ামি গৌতম অভিনীত ‘হক’।